Main Menu

ছবি ও ভিডিও দেখে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে..আইজিপি

+100%-


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হরতাল চলাকালে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) ডক্টর বেনজির আহমেদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত রেল স্টেশন, পৌর সভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, ভূমি অফিস, সুর সম্রাট ওস্তাত আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনসহ বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এসে বিক্ষুব্ধদের হামলায় আহত প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ অন্যন্য আহত সাংবাদিকদের খোঁজ খবর নেন। এ সময় তার সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্রাহ্মিণবাড়িয়ায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় তদন্ত করে যাদের নাম আসবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ছবি ও ভিডিও দেখে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি সেদিন থানা থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে পুলিশে আত্বসমর্পন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের অপেশাদার লোকজনকে পুলিশে রাখতে চাইনা। দায়িত্বরত পুলিশের কোন রকম অবহেলা থাকলে সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ভয়ের কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্র, আইন ও জনগণ আপনাদের পাশে আছে। আপনারা (ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী) মামলা করুন, অবশ্যই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২ লাখ লোক বসবাস করে শহরে। তারা তাদের সন্তানদের দিনে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা করেছে। মাদ্রাসাগুলোতে ১৩ হাজার ছাত্র লেখাপড়া করছে। তাদের প্রতিদিন এক কোটি টাকা খরচ হয়। এ টাকার যোগান ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। কিন্তু এখন আপনাদের চিন্তা করতে হবে আপনাদের ভূমি অফিস ও রেকর্ডরুম আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ক্ষতি আগামী ৫০ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে বহন করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত সাংবাদিকের দেখতে গিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, ইসলামী শিক্ষার নামে আমাদের আলেম সমাজ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক রুহানি হুজুর, আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্ন। অপরটি রাজনৈতিক। রাজনৈতিক আলেম কারা কারা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে। একইসঙ্গে সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে থাকবে তার সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে সরবরাহ করলেও যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে।






Shares