Main Menu

চেয়ারম্যানের অনিয়ম, ১২ মেম্বারের অনাস্থা, পুলিশি বাধায় ইউপি পরিষদের সামনে বসে বিক্ষোভ

+100%-


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অনিয়মের অভিযোগ এনে ইউপি পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ইউনিয়নবাসী। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা এই কর্মসূচি পালন করে। এসময় তাদের সমর্থন দেয় ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যরা৷ এর আগে,গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাউসার হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন তাঁর পরিষদেরই ১২ জন সদস্য (মেম্বার)। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তুলেছেন মেম্বাররা।

দুপুরে পাকশিমুল বাজার থেকে ইউনিয়নের লোকজন ব্যানার হাতে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দেশ্যে মিছিল সহকারে গিয়ে মানববন্ধন করতে চাইলে, এতে পুলিশ বাধা প্রদান করে। এসময় পুলিশ তাদের হাতে থাকা ব্যানার ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশি বাধা পেড়িয়ে তারা ইউপি কার্যালয়ের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।

জয়দরকান্দি গ্রামের মাহবুবুর রহমান, পরমানন্দপুর গ্রামের কাশেম মিয়া, পাকশিমুল গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মোতালেব ও হাফিজ উদ্দিন নামের ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচিত হওয়ার আগে উনি বহুত ওয়াদা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না। কোন কাজের জন্যে গেলে গালমন্দ করে বের করে দেন চেয়ারম্যান।

৭,৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য জুর বানু বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান কাউসারের অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার অনিয়ম থেকে রক্ষা পায় না ইউপি সদস্যরাও। তিনি টাকা টাকা কোন প্রকার সনদ দেন না। আমার নিজের বোনের ছেলের জাতীয় সনদপত্রে জন্য ৩০ হাজার টাকা চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে। আমাদের জনগণ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে। তাদের কাছে আমরা মুখ দেখাতে পারি না।

৭ নং ওয়ার্ড সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন পেয়েছি ৫ মাসে, ভাতিজা পেয়েছে ৬ মাস পর। বিষয়টি ইউএনও সাহেবকে বলার পর একদিন পরই পেয়ে যাই। চেয়ারম্যান কাউসার হোসেন বিনা রশিদে বিভিন্ন সুবিধাভোগিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। টিউবয়েল বিতরণে অতিরিক্ত অর্থ নেন। বিভিন্ন বিষয়ে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরণের পরামর্শ করেন না। এছাড়া তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করেছেন, বিষয় গুলো উল্লেখ করে আমরা ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

মিছিলে বাধা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. বাবুল বলেন, মিছিল বা কোন প্রকার কর্মসূচি পালনে অনুমতি নেই। তাই উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে মিছিল করতে দেওয়া হয়নি।

বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন এবং সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য না দিতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল মৃদুল বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। দোষী প্রমাণিত হলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






Shares