Main Menu

এজেন্টের কারসাজিতে বাজারে কৃত্রিম সংকট চড়া মূল্যে সিগারেট বিক্রি

+100%-

bensonবিশেষ প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ধূমপায়ীদের কাছে চড়া মূল্যে সিগারেট বিক্রি করছেন খুচরা দোকানীরা। গত ১ সপ্তাহ ধরে চলছে এই অবস্থা। এতে বিপাকে পড়ছেন ধূমপায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে এই সুযোগে বিরাট অংকের টাকা মার্কেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বৃটিশ-আমেরিকান টোবাকো কোম্পানীর স্থানীয় এজেন্ট “ মেসার্স ভগবান চন্দ্র পাল।
জানা গেছে গত ১ সপ্তাহ ধরে বৃটিশ-আমেরিকান টোবাকো কোম্পানীর উৎপাদিত সিগারেট গোল্ডলীফ প্রতিটি সাড়ে ৮টাকার স্থলে ১০টাকা এবং বেনসন ১০টাকার স্থলে ১২টাকা বিক্রি করছে দোকানীরা। শুধু গোল্ডলীফ ও বেনসনই নয়, বেশী দামে বিক্রি করা হচ্ছে স্টার ফিল্টার ও ক্যাপেস্টন সিগারেট। এতে করে বিপাকে পড়েছে ধূমপায়ীরা।
খুচরা দোকানীরা অভিযোগ করে বলেন, তাদেরকে কোম্পানী চাহিদামতো সিগারেট সরবরাহ করছেনা। ফলে তারা বাধ্য হয়েই খোলা বাজার থেকে পাইকারীভাবে চড়া দামে সিগারেট কিনে বেশী দামে খুচরা বিক্রি করছেন। অপর দিকে কোম্পানীর লোকজন জানান, তারা দোকানীদের চাহিদামতো সিগারেট সরবরাহ করলেও দোকানীরা গ্রাহকের কাছে চড়া মূল্য সিগারেট বিক্রি করছেন।
শহরের পাইকপাড়ার এস.এন.ইসলাম বলেন, গত ১ সপ্তাহ ধরেই খুচরা দোকানীরা সিগারেটের দাম বাড়িয়েছে। গোল্ডলীফ, বেনসনে প্রতি সিগারেটে দাম বাড়ানো হয়েছে দুই টাকা করে। দোকানীদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, কোম্পানীর পক্ষ থেকে তাদেরকে চাহিদা মতো সিগারেট সরবরাহ করা হয়না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের একাধিক ধূমপায়ী বলেন, কোম্পানীর লোকেরা দোকানীদেরকে চাহিদামতো সিগারেট সরবরাহ না করে চড়ামূল্যে তা খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে গ্রাহক পর্যায়ে।
খোঁজ নিতে নিউ মার্কেটের সাদেক স্টোর, মিজান স্টোর, আলী স্টোর, হানিফ স্টোর, নির্মল স্টোরে গেলে সাদেক স্টোরের মালিক জানান, বৃটিশ-আমেরিকান টোবাকো কোম্পানীর স্থানীয় এজেন্ট “ মেসার্স ভগবান চন্দ্র পাল” তাদেরকে চাহিদা মোতাবেক সিগারেট সরবরাহ না করায় তারা বাজারে প্রতিটি কার্টুনে ৫ টাকা বেশী দামে সিগারেট বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, তাদেরকে কোম্পানীর পক্ষ থেকে চাহিদার অর্ধেক সিগারেট সরবরাহ করা হচ্ছে।
খুচরা দোকানী হাসান মিয়া, রুসমত আলী, সুরেশ চন্দ্র, কাউছার মিয়া, আরমান মিয়া বলেন, মেসার্স ভগবান চন্দ্র পালের লোকজন আমাদেরকে দায়সারাভাবে সিগারেট সরবরাহ করছেন। আগে যেখানে দেওয়া হতো ১০ প্যাকেট বর্তমানে সেখানে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৩ প্যাকেট। ফলে আমরা খোলা বাজার থেকে বেশী দামে সিগারেট কিনে বেশী দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এজেন্ট “ মেসার্স ভগবান চন্দ্র পাল” এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মলাই পাল বলেন, বাজারে সিগারেটের কোন সংকট নেই। আমরা পাইকারী ও খুচরা দোকানীদেরকে চাহিদা মোতাবেক সিগারেট সরবরাহ করছি। সিগারেটের কোন দাম বাড়েনি। খুচরা দোকানীরা লাভবান হওয়ার আশায় চড়াদামে সিগারেট বিক্রি করছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, কোম্পানী সিগারেটের দাম না বাড়ানো সত্বেও খুচরা দোকানীরা অবৈধভাবে বেশী দামে সিগারেট বিক্রি করছে।






Shares