Main Menu

ইউপি নির্বাচন:: কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে

+100%-

poyagডেস্ক ২৪:: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং বেশ কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউপিতে ১১২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্ষন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ৫৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এসব ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৯৯ হাজার ৭০ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১লক্ষ ৪৭ হাজার ১৯৬জন ও পুরুষ ভোটার ২লক্ষ ১০ হাজার ৫৭৮জন।

ভোট গ্রহনকালে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দূবৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনার পর পুলিশ ভোটকেন্দ্রের পাশ থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি ককটেল উদ্ধার করেছে।

সকাল ১১টার কিছুক্ষণ পর সুহিলপুর ইউনিয়নের সিতানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঙুর হাজারীর সমর্থকরা প্রাকাশ্যে সিল মারেছে বলে অভিযোগ প্রতিপক্ষের। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান লিটনের সমর্থকরা বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।

433709

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী সুরুজ মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে আরেক সদস্য প্রার্থী মনির মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষে অল্প কিছুক্ষণের জন্য ভোট বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

এছাড়া সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর কেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর বেশ কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর,বিজেশ্বর ও উলচাপাড়া কেন্দ্রে। এ সময় গণমাধ্যমের একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।এ ঘটনার একটু পরেই দুপুর দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মশিউর রহমান সেলিম উলচাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে রামরাইল ইউনিয়নে পুনরায় ভোটগ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির দশজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। নির্বাচন বর্জনকারীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট কারচুপি, প্রশাসনের অসহযোগিতামূলক আচরণ ও কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।






Shares