Main Menu

সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে:ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট রেলপথে সূচনা হচ্ছে নতুন দিগন্তের

আগস্টে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেল সেতুর উদ্বোধন

+100%-

সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। অচিরেই  ডাবল লাইনে ক্রসিং ছাড়াই চলবে ট্রেন। ভ্রমণ বা পণ্য পরিবহনে সময় ও যাত্রী হয়রানি কমবে। বাড়বে ট্রেনের সংখ্যাও। আগামী অগাষ্টেই সেতু দু’টির উদ্বোধন করা হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন ১লা জুলাই শনিবার সেতু দুটি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান । এ সময় সচিব আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প, আখাউড়া-লাকসাম রেললাইন প্রকল্পের অগ্রগ্রতি সম্পর্কেও খোঁজ নেন।

সচিব আরও বলেন, রেলভবনে আগামী মাসিক সভায় দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু ও তিতাস রেলসেতু উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করবেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু দুটির উদ্বোধন ঘোষণা করলেই শুরু হবে ট্রেন চলাচল। এরই মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই সেতু দিয়ে ট্রেন চালানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানান তিনি।

ভারতের অর্থায়নে নির্মিত সেতু দুটি দিয়ে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দুই ধরনের ট্রেন চলাচল করতে পারবে বলে জানান রেলসচিব। তিনি আরো জানান, ধীরে ধীরে মিটারগেজ ট্রেনের ব্যবহার কমে আসছে। বিষয়টি মাথায় রেখে উভয় ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে মিটারগেজ ট্রেন বন্ধ হলেও নতুন করে সেতু নির্মাণ করতে হবে না।

সেতু পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শশী কুমার সিংহ, রেলপথ প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাই, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জামান প্রমুখ।

এই সেতু দু’টি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর ১৯৩৭ সালে নির্মিত হয় ভৈরব রেল সেতু। দীর্ঘ ৭৯ বছর ধরে ওই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। পুরনো সেতুটি ইতোমধ্যে মেরামত ও সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী রয়েছে।






Shares