Main Menu

হোটেল রেষ্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

॥ চিত্র বাবু সভাপতি ॥ মোঃ গিয়াস উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক ॥

+100%-

hsহোটেল সেক্টরে নিম্নতম মূল মজুরি দশর হাজার টাকাসহ মজুরি কাঠোমো ঘোষণা, নিয়োগ পত্র, পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রম আইন কার্যকরী করা এবং কিশোর শ্রমিক রিয়াদ হত্যাকারী ঘরোয়া হোটেল এর মালিক সোহেল বয়াতীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়ে হোটেল শ্রমিকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ হোটেল রেষ্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দ্বিতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন দি-আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হোটেল রেষ্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আক্তারুজ্জামান খান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোটেল রেষ্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হোটেল রেষ্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের আশুগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি বাহার মাষ্টার, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ হোটেল রেষ্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোলেমান মল্লিক, বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক শামসুল ইসলাম, বিপ্লবী ছাত্রযুব আন্দোলনের আহ্বায়ক মুনতাসির আহম্মেদ আধির, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নূর আলম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের শ্রম আইনে আট ঘন্টা কাজ সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টা কাজের অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরী দেওয়ার আইন থাকলেও তা না দিয়ে মালিকরা আমাদেরকে পনের-ষোল ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করেন। অতিরিক্ত কাজের কোনো মজুরি দেয় না। যার দরুন শ্রমিকরা প্রায় বিনা মজুরিতেই কাজ করতে বাধ্য হয়। একজন শ্রমিক বিদায় করতে হলে চার মাসের নোটিশ পে প্রতি বছরের জন্য এক মাসের গ্র্যাচ্যুইটি, অর্জিত ছুটি পাওনা থাকলেও তাও প্রদান করা হয় না। চাকুরীকালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আইন থাকলেও তা না দিয়ে বরং কাজের মজুরী পর্যন্ত না দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়। সপ্তাহে দেড় দিন সাপ্তাহিক ছুটি, বছরে চৌদ্দ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, চৌদ্দ দিন অসুস্থ্য জনিত ছুটি, প্রতি আঠারদিন কাজের জন্য এক দিন অর্জিত ছুটি, উৎসব ছুটি। নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান বাধ্যতামূলক থাকলেও শ্রমিকরা ঐসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই শিল্প থেকে সরকার উল্লেখ্যযোগ্য রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশী নিগৃহীত-অবহেলিত। দেশের শ্রম আইন বিদ্যমান, যদিও সেই আইনে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা হয় নাই বললেই চলে। তার পরও যেটুকু শ্রমিকদের প্রাপ্য সেটাও মালিকরা শ্রমিকদেরকে প্রদান করেন না। আইএলও কনভেশন অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিকই অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার আছে। যেটা সরকার আইএলও কনভেশনে অনুস্বাক্ষর করে অস্বীকার করেছেন। এই কারণেই হোটেল রেষ্টুরেন্ট সুইটমিট শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত তাদের দাবী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য চলমান আন্দোলন বেগবান করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। সম্মেলন শেষে শ্রী চিত্র বাবুকে সভাপতি, মোঃ গিয়াস উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মোঃ মহিউদ্দিন জিলানীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।-খবর বিজ্ঞপ্তির






Shares