Main Menu

ছাত্রসেনার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ শাখার উদ্যোগ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

সুশিক্ষার মাধ্যমেই মানবিক উৎকর্ষ সাধন সম্ভব

+100%-

শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড, জাতী সত্তার বিকাশ মানজীবনে সুশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমেই প্রতিটি জাতী তাদের কাংখিত লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হয়েছে ।কেননা অন্ধকারে যেমন পথ চলা যায় না তেমনি শিক্ষা ব্যতিত উনতির পথে অগ্রসর হওয়া যায়না। বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররা কলম খাতার পরিবর্তে অস্ত্রবাজী,বােমাবাজী,খুন,হত্যা,নাশকতা ও সাধারন মানুষের জীবনাবসানের মত বিভিন ধরনের অনতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হইয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশকে বিঘ্ন ঘঠাচ্ছে। দেশের শিক্ষাঙ্গনে সুশিক্ষার পরিবেশ তৈরীর জন্য দেশের সকল সচেতন নাগরিক, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেনীর পেশাজীবিসহ সরকারের আরও আন্তরিক হওয়া উচিত।তাহলেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশের আদলে সুশিক্ষার মাধ্যমে সুনাগরিক তৈরী করে মানবিক উৎকর্ষ সাধন সম্ভব।

গতকাল ০১ মার্চ বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুর সম্রাট ওস্তাদ আলা উদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তেনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ শাখার উদ্যোগে পি এস সি, ইবতেদায়ী ও জে এস সি, জে ডি সি পরিক্ষায় জিপি এ ৫ প্রাপ্ত কতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব জননেতা আলহাজ্ব এম.এ মতিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি ছাত্রনেতা মােহাম্মদ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঊদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আলহাজ্ব মাওঃ আবু সুফিয়ান আবদী আল কাদরী। তিনি বলেন দেশের মানুষ আজ খােদাভীতি ভুলে বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হওয়ায় সমাজের সর্বস্তরে অরাজকতা বিরাজ করছে। তাই এমতাবস্তায় কােরআন সুন্নাহর ভিত্তিত ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আলাচক হিসাব উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সচিব আলহাজ এ্যাডঃ মােঃ ইসলাম উদ্দিন দুলাল। তিনি বলেন- ছাত্র/ছাত্রীদের ন্যায় সংগত দাবী আদায় ও শিক্ষা জীবনের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা সমাধান এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণ সাধনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা দীর্ঘকাল যাবত রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শর পতাকাবাহী সংগঠন হিসাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতপ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন কর আসছে। যে কারনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা প্রচলিত টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস ও জংগীবাদ মুক্ত প্রকৃত ছাত্র রাজনীতি জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি পীরে তরিকত অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন আল-ক্বাদরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নবীনগর উপজেলা সভাপতি পীরে তরিকত আলহাজ্ব গাজী এম কে মোবারক আলী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পীরে তরিকত সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস গালেব, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ছায়েদুজ্জান জাবের, যুবসেনা জেলার সহ-সভাপতি যুবনেতা মুফতি সায়েদুর রহমান রেজবী, জেলা ছাত্রসেনার সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার, নাছিরনগর উপজেলা ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জাকির হোসাইন।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সংগ্রামী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন শাহ বাবুল, ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক ছাত্রনেতা শেক মোহাম্মদ বুরহান উদ্দিন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রসেনা সদর উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কসবা উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ উজ্জল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাফেজ শফিকুল ইসলাম, নাছিরনগর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ নুর আলম, আশুগঞ্জ উপজেলার সভাপতি হাফেজ আতাউর রহমান, সরকারি কলেজের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ বায়েজিদ আহমেদ, মোহাম্মদ আউলাদ হোসাইন, মোহাম্মদ ঈমান আলি, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সহ প্রমুখ। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম সুমন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ শাহিন আল মামুন।প্রেস রিলিজ






Shares