ভারতফেরত যাত্রীদের বিনামূল্যে কোয়ারেন্টাইন সেবা দিচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ফেরত যাত্রীদের সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিনামূল্যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লিঃ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারতফেরত যাত্রীদের জন্য ১০০ বেড সম্বলিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিচালনার জন্য শিফট অনুযায়ী ডাক্তার, নার্স, কোয়ারেন্টাইন ইনচার্জ, পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত আছেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অবস্থানরত ভারত ফেরত যাত্রী কুমিল্লার আল-আমীন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর কোয়ারাইন্টান সেন্টার এর পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর আমরা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার-চিকিৎসা সেবা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যথাসময়ে পাচ্ছি আমাদের কোন রকম সমস্যা হচ্ছে না।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, আমি দেশ ও মানুষের সেবা করার জন্যই বিনামূল্যে ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য কোয়ারান্টাইন সেন্টারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এখানে ভারত ফেরত যাত্রীরা মনোরম পরিবেশে থাকা খাওয়ার সুবিধাসহ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। করোনা এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ বলেন, ভারত ফেরত যাত্রীরা অধিকাংশই ভারতে উন্নত চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কেউ ক্যান্সার,ডায়াবেটিকস, হার্ট সহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে কোয়ারান্টাইন সেন্টার থাকার ফলে ভারত ফেরত রোগীদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে তারা কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন এতে করে অসুস্থ রোগীদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে।
কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা, ডেপুটি ম্যানেজার আসাদুল্লাহ মিয়া জানান কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এখন পর্যন্ত ২৪৫ জন ভারত ফেরত যাত্রী সেবা নিয়েছেন । ছাড়পত্রের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিন সেন্টার ত্যাগ করেন ১৯৯ জন এবং বর্তমানে ৪৬ জন ভারত ফেরত যাত্রী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিন সেন্টার এ অবস্থান করছে। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১০ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিন অতিক্রম হওয়ার পর সরকারি খরচে করোনা পরীক্ষা করানো হয় এবং ১৪ দিন অতিক্রম হওয়ার পার প্রশাসিনক ছাড়পত্রের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিন সেন্টার ত্যাগ করতে হয়।
« সরাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন ভূইঁয়া আর নেই (পূর্বের সংবাদ)