Main Menu

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন আড়াইসিধা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

+100%-

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ ১০টি যথাঃ একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়নের কার্যক্রম সমূহ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগের বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমসমূহের ব্র্যান্ডিংসহ মাদকের ভয়াবহতা,বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ এছাড়াও সরকারের বৃহৎ প্রকল্পসমূহ ও মধ্যম আয়ের দেশে উর্ত্তীণ হওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ সর্ম্পকে,তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারসহ নারী শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করণ এবং বিগত ০৯ (নয়) বৎসরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য সম্পর্কে গ্রামীণ জনগনকে তথ্য প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ উপজেলায় আড়াইসিধা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে বুধবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপপরিচালক,পরিবার পরিকল্পনা আধিদপ্তরের অরবিন্দ দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন । তাঁর উদ্যোগে যুদ্ধবিধ্বসÍ স্বাধীন বাংলাদেশে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।সে সময় সরকারি শিক্ষকের পদমর্যাদা লাভ করেন দেশের ১লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষক।এই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা সহায়তা র্কমসূচি বাস্তবায়নের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।যার সুফল লাভ করছে শিক্ষার্থীরা।গত ৬বছরে ২৬,১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে ।এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার অঙ্গীকার নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। তৃতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রধিকার প্রদান করে।একইসাথে জনগনের দোড়গোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানো,নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো,পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি আরো বলেন গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সমাজকর্মী, সমাজবিজ্ঞানী,  অর্থনীতিবিদসহ সকল শ্রেণীর মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণপূর্বক দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ বাহাউদ্দিন,সহকারী পরিচালক,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ র্কাযালয়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,তাছলিমা আক্তার,মহিলা বিষয়ক র্কমর্কতা,আশুগঞ্জ ও আম্বেয়া বেগম,আড়াইসিধা নারী উন্নয়ন কেন্দ্রের সভানেত্রী;এছাড়া অনেক গণমান্য ব্যক্তি এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসএবং বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ১০টি সহায়ক ভ’মিকা রাখবে।তিনি আরো বলেন- মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ত্বে সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন এবং এরই মধ্যে জাতিকে লোডশেডিং এর বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত করেছে। তিনি আরো বলেন- যে দেশ যত দ্রুত ইনফরমেশন হাইওয়ে যুক্ত হবে সে দেশ তত অর্থনৈতিক ভাবে চাঁঙ্গা হবে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যানেই আজ বাংলাদেশ ‘‘ তলাহীন ঝুঁড়ি থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মর্যাদা পাচ্ছে’’। বিটি আর সি এর তথ্য মতে ৭ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। (জানুয়ারি,২০১৮),তাছাড়া তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বৈষ্ঠনী নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সকলের মধ্যে দেশ প্রেম থাকতে হবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৮০ শতাংশ মহিলারা সেবা নিচ্ছে ফলে শিশু মৃত্যুর হার এবং মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন এবং অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।প্রেস রিলিজ






Shares